পৃথিবীর আবরণটা অনেক সুন্দর। তবে এর ভেতরটা কদর্যতায় ভরা।পৃথিবীর আসল রূপটাকে প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
Saturday, September 8, 2018
ভারতে সমকামিতা বেমানান নয়!
রবিঠাকুর ঠিকি বলেছিল, 'মূর্খের দেশে আবার কিসের বিশ্ববিদ্যালয়!_____ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করার বিরোধিতা করা যথার্থ ছিল, 'তার প্রমাণ : এই যেমন ভারতে সমকামিতা বৈধতার রায় নিয়ে আমি/আমরা যেভাবে হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছি তাতেই আমাদের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়!
"গল্প: একলোক আদরযত্ন করে একটা কুকুর পুষেছিল, কুকুরটাকে উন্নত ভালো-ভালো খাবার দেয়। হঠাৎ একদিন লোকটি দেখল, তার পোষ্য কুকুর শিশুর পায়খানায় খাচ্ছে!___লোকটা বিষম ক্ষেপে গিয়ে কুকুরের উপর চড়াও হল।
সে বলছে, তরে এতো আদরযত্ন করে ভালো ভালো খাবার খাওয়াচ্ছি, কিন্তু তুই পায়খানা খাচ্ছিস? 'আসলে কুকুরে তো ভুল করেনি। ভুল ভাবনা মালিকের ছিল। কুকুরকে যতই ভালো খাবার দিন, আদরযত্ন করুন, সে কি তার কুকুরী খাসিয়ত ভুলে যেতে পারে? "কখনো না।
কুকুর নজিস দেখলে লোভ সামলাতে পারেনা, মুখ দিবেই।
তাই কুকুর ভুল করেনি! ভুল আপনের। কুকুর তার মূলগত চরিত্র ছাড়তে পারেনা।
যে, জাতি সৌভাগ্য লাভের আশায়
কুকুর, বানর ইত্যাদি জানোয়ারের সাথে বিয়ে করে।
যে, জাতি সম্পূর্ণ উলঙ্গ মানুষের লিঙ্গ ছুঁয়ে পূজা করে।
যে, জাতি গরু রক্ষার নামে মানুষ হত্যা করে।
যে, জাতি তার আপন সন্তান, বোনদের ঋতুস্রাবের সময় গোয়ালঘরে থাকা বাধ্যতামূলক। শুধু তাইনা প্রথম ঋতুস্রাবের সময় ২২'দিন বাবা-এবং ভাইদের চোখের আড়ালে (বাড়িছাড়া) থাকা বাধ্যতামূলক।
সেই জাতির কাছে সমকামিতা বৈধতা পাওয়া দেখে এমন অবাক, আশ্চর্য হওয়া মূর্খতা ছাড়া আর কি হতে পারে?
ওরা ইঁদুর, বানর, কুকুর, হাতি, সাপ সহ অনেক জীবজন্তুর পূজা করে। এটা তাদের ধর্মে পেয়ে এসেছে। তাছাড়া তারা লিঙ্গ পূজা করে বিধায় সমকামিতা ঐপূজার অংশও হতে পারে!
সুতরাং তাদের জন্য এইসব স্বাভাবিক বিষয়।
এনিয়ে হৈ-চৈ করার কি আছে?
কিন্তু অস্বাভাবিক বিষয় হল: এদেরকে আমাদের দেশের কিছুসংখ্যক মানুষ' যারা নিজেদের মুসলিম ও পরিচয় দিয়ে থাকে, সেই তারা ওই সমকামী, লিঙ্গপূজারীদেরকে পরম বন্ধু সম্বোধন করে। তাদের সাহায্য পরামর্শ নিয়ে চলে! তাহলে কি ধরে নেবো, তাদের ও পূর্বপুরুষরা ঐ জাতি-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিল? 'যেমন কুকুর তার মূলগত চরিত্র ছাড়তে পারেনা, তেমনি এরাও তাদের বুনিয়াদী জাতভাইদের সঙ্গ ছাড়তে পারেনি!
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে আমাদের দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাই আমাদের আচার আচর , চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ আলাদা।
পশুর সাথে যে, মানবজাতির আচার আচরণের মিল থাকে, তাদেরকে মানুষ বলবেন কীভাবে?
তবে পশুরা কিন্তু সমকামিতা করেনা। তা-হলে ওরা তো পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট।
আর এই নিকৃষ্ট জাতের সাথে মানুষের বন্ধুত্ব হতে পারে কী???
উৎকণ্ঠিত গোটা আরব! ভয়ার্ত পুরো মুসলিমবিশ্ব
আমেরিকার পা-চাটা গোলাম সৌদিআরব শাইখ সালমান আল আওদাহ, শাইখ আওয আল কারনি ও শাইখ আলি আল উমারির শিরচ্ছেদ করার ঘৃণ্য পাঁয়তারায় লিপ্ত। এই তিন ইসলামি চিন্তাবিদের শিরচ্ছেদ করে তাগুত আ-লে সৌদ সৌদি জনগণের মুখে কলুপ এঁটে দিতে চাচ্ছে! তাগুত আ-লে সৌদের এই ঘৃণ্য পাঁয়তারা সম্পর্কে টের পেয়ে গেছে সৌদি জনগণ। ইতিমধ্যেই তাদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠেছে। এক অজানা ভীতি আর শঙ্কায় কাটছে তাদের প্রতিটা মুহূর্ত! এখন উৎকণ্ঠিত পুরো আরবজাতি। ভয়ার্ত গোটা মুসলিমবিশ্ব।
গত বুধবার তাগুত সৌদিআরবের কথিত শাস্তিমূলক আদালতের অধীনে শাইখ সালমান আল আওদাহর গোপন বিচার সংঘটিত হয়। সরকারপক্ষ তার বিরুদ্ধে সাঁইত্রিশটি ভুয়া সন্ত্রাসী অভিযোগ আরোপ করার পর; শাস্তিস্বরূপ তাঁর শিরচ্ছেদ করার আবেদন করে! তদ্রুপ পৃথক পৃথক গোপন বিচারে একই অভিযোগে শাইখ আওয আল কারনি ও শাইখ আলি আল উমারিরও শাস্তিস্বরূপ শিরচ্ছেদের আবেদন পেশ করে! শাইখ সালমান আল আওদাহর ছেলে আবদুল্লাহ আল আওদাহর সূত্রমতে, সৌদি আদালত শাইখ সালমান আল আওদাহর বিচার একমাসের জন্য মুলতবি ঘোষণা করে। আগামী মাসে তাঁর বিচার আবারও অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও অবহেলার শিকার হয়ে শাইখ আবদুল আজিজ আত তারিফির শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। আলহায়ির কারাগারের হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রখ্যাত দাঈ শাইখ মুহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল আরিফির সবধরনের বক্তৃতা ও দাওয়াহর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাগুত সৌদি প্রশাসন। শাইখ আরিফি এখন বাক-অবরুদ্ধ! তদ্রুপ আরও অনেককেই সংকীর্ণতার মধ্যে রাখা হয়েছে।
পুনঃউল্লেখ্য, একে একে সৌদিআরবের প্রায়সকল আলেম, দাঈ, রাজনীতিক ও ইসলামি চিন্তাবিদ কারাবন্দি বা নজরবন্দি। শুধুমাত্র 'হক' বলা বা 'হক'র পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে। তাঁদের কেউ কেউ কারা-হাসপাতালে শয্যাশায়ী, আবার কেউ কেউ খড়গের নিচে মৃত্যুর জন্য প্রহর গণনাকারী! কিন্তু মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব ভাড়াটে শাইখ আবদুর রহমান আস সুদাইস এখন অবধি রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ শান-শওকত আর বিপুল ঐশ্বর্যের মধ্যে তাগুত আ-লে সৌদের পা চেটেই যাচ্ছেন! বিশ্বকে শান্তির বন্দরের দিকে নিয়ে গমনকারী (!) ট্রাম্প ও সালমানের জুতো বহন করেই চলছেন!
-----
সমকামিতা ভারতে আর অপরাধ নয়: সুপ্রিম কোর্ট
সমকামিতা ভারতে আর অপরাধ নয় বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
ব্রিটিশ জমানার এই বিতর্কিত আইনটির সুবাদে 'অপ্রাকৃতিক যৌনতা'র অপরাধে ভারতে কোনও ব্যক্তির ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারতো।
১৮৬১ সালের জারি করা ধারাটি ২০০৯ সালে সমকামিতা অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল দিল্লির হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে আপীল করা হলে ২০১৩ সালে ওই আইনটি বহাল করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ। নিজেদের সেই আদেশ আজ বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এ সময় আদালতের বাইরে অধিকার কর্মীরা উল্লাস করে ওঠেন। তাদের অনেককে কাঁদতে দেখা যায়।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ভারতে এলজিবিটি শ্রেণীভুক্ত পাঁচজন ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা তাদের আবেদনে বলেছিলেন, ভারতীয় দন্ডবিধির সেকশন ৩৭৭ এমন একটি আইন যে কারণে সব সময় তাদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে হয় - কারণ তাদের যৌনতার দোহাই দিয়ে পুলিশ যখন খুশি তাদের গ্রেফতার করতে পারে।
গত জুলাই মাসে তাদের আবেদনের শুনানি শুরু করেন সুপ্রিম কোর্ট, যা দেশটিতে স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার বিতর্ক তৈরি করে।
শুনানির একপর্যায়ে একজন বিচারপতি মন্তব্য করেন, ''যৌনতার কারণে কাউকে ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করা উচিত নয়।'' যা ভারতের সমকামীদের মধ্যে আশাবাদের সৃষ্টি করে।
সমকামিতাকে কোন অপরাধ হিসাবে গণ্য না করার জন্য ভারতে অনেকেই দাবি তুলেছেন।
যদিও এখনো ভারতে সমকামিতা নিয়ে সংকোচ রয়েছে এবং অনেকেই এটিকে বেআইনি বলে গণ্য করে।
'সেকশন ৩৭৭' বহাল থাকা না থাকার প্রশ্নে ২০১৬ সালে পুনরায় শুনানি গ্রহণ করতে সম্মত হন আদালত। তিনজন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এটা সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে তারা মনে করেন।
সেকশন ৩৭৭ কী?
এটি ১৫৭ বছর পুরনো ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইন, যেটি ১৮৬১ সালে জারি করা হয়।
সেখানে কিছু যৌন অপরাধকে অস্বাভাবিক অপরাধ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যার জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
যেখানে বলা হয়েছে, ''স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে মানুষ,নারী বা কোন পশুর সঙ্গে যৌন মিলন'' করা হলে তা শাস্তিযোগ্য হবে।
অ্যাকটিভিস্টরা বরাবরই অভিযোগ করছেন, দেশের সমকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়কে হয়রানি করতে আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমঅধিকার কর্মীরা বলছেন, এ ধরণের একটি আইন থাকা মানেই প্রমাণ করে যে, যৌনতার ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে।
Subscribe to:
Comments (Atom)
মুসলিম উম্মাহ্র অধঃপতনে জাতীয়তাবাদের ভূমিকা
"এক জাতি, এক ভূমি"- এই চেতনা ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একদা যে মুসলিম উম্মাহ্ পরিণত হয়েছিল বিশ্বের প্রভাবশালী সভ্যতায় সেই একই ...
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
-
সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী কর্তৃক রচিত ইসলামী pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন। অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ১। অর্থনৈ...
-
মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষা কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া পরান আকুল করে? মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষার ধ্বনির জন্য প্রবাসীর কান পিয়াসী থাকে...
-
বইয়ের নাম : মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ । বইয়ের মূল নাম : দিফায়ে মিল্লাতে ইবরাহিম । গ্রন্থনা : শাইখ মুদ্দাসসির আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আরশাদ ল...
-
রজব তাইয়্যেব এরদোগান ! দুই বারের প্রধানমন্ত্রী। এখন দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি তুর্কির নন্দিত প্রেসিডেন্ট। দেশ,মুসলিম উম্মাহ, বিলাদুল হ...
-
মেশকাত জামাতের সমস্ত কিতাব বাংলা এর pdf {পিডীএফ} পাবেন আমাদের এই ওয়েবসাইটে । সহস্যাধিক ইসলামিক বইয়ের তালিকা এর মধ্য থেকে আপনার পছন্দের p...





