Monday, December 16, 2019

বঙ্গবন্ধুর বন্ধুর নাম রাজাকারের ১ম তালিকায়


জুমবাংলা ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন মজিবুল হক নয়া ভাই। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকেছেন মজিবুল হক। মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ গঠন থেকে শুরু করে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত পাথরঘাটা সংগঠনের সভাপতি ছিলেন নয়া ভাই। পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা ৪০ বছর সভাপতি ছিলেন তিনি, ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
এরপরও সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় নাম এসেছে তার। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারে তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর এই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হকের নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর পাথরঘাটার প্রত্যন্ত গ্রামে নয়া ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। আশ্রয় নিয়েছেন মুক্তিকামী মানুষও। স্বাধীনতার স্বপক্ষের সংগঠক ও মুক্তিকামী মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতাকারী মজিবুল হক নয়া ভাইয়ের নাম সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আসায় ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরাও। এ বিষয়ে মজিবুল হকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, বিদায়ের বেলায় দেখতে হলো আমার স্বামীর নাম রাজাকারের তালিকায়, তাও আবার ১ নম্বরে। এখন কবর থেকে তুলে আমার স্বামীর বিচার করতে হবে ?


তিনি বলেন, আমার স্বামী ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মারা গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। সংগ্রাম পরিষদ পরিচালনা করেছেন। যুদ্ধের সময় আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়া মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী মানুষের ভরণ-পোষণ দিয়েছেন। আজ সেই মানুষটা কি করে রাজাকার হয়? এর বিচার হবে। এর বিচার করবেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার স্বামীর কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটতেন। শেখ হাসিনা আমার স্বামীর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতেন। দূরে বসলে তাকে কাছে টেনে বসাতেন শেখ হাসিনা। সেই মানুষটা কি করে রাজাকার হলো, তা আমি জানতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি এর বিচার চাই।
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, মারা যাওয়ার এতো বছর পর আবার ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন মজিবুল হক নয়া ভাই। তিনি কখনও রাজাকার ছিলেন না। ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ও বন্ধু। ছিলেন স্বাধীনতার সংগঠক।
 বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন,মজিবুল হক নয়া ভাই রাজাকার ছিলেন না। রাজাকারের তালিকায় কিভাবে উনার নাম এল বিষয়টি তদন্ত করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Monday, December 9, 2019

অটোম্যান থেকে বর্তমনা ক্যারিশমাটিক এরদোগান pdf download

 রজব তাইয়্যেব এরদোগান !   দুই বারের প্রধানমন্ত্রী।  এখন দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি তুর্কির নন্দিত প্রেসিডেন্ট।
  দেশ,মুসলিম উম্মাহ, বিলাদুল হারামাইন, আল-আকসা ও ফিলিস্তিনকেন্দ্রিক তার কথা ও বলা,  ভাষণ ও  বক্তৃতা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নব্যক্রুসেডারেরা একদিকে  হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠেছে, অপরদিকে এরদোগান প্রতিবাদী কণ্ঠে আবির্ভূত হচ্ছেন প্রতিবাদের ডায়াসে।
 এরদোগান বর্তমান মুসলিম বিশ্বের এক স্বপ্নপুরুষ।  মজলুমের দরদী বন্ধু। নির্যাতিত জনপদের কল্যাণকামী মুহাফিজ।  নির্যাতিত,নিগৃহীত, কান্নারত শিশুকিশোর-নারীর দায়িত্বশীল অভিভাবক
 তিনি শিকড়ের শিকরে ফিরতে লালায়িত।
 আরবে আজমে তাকে নিয়ে লেখক সাংবাদিকেরা কথা বলছেন, লিখে যাচ্ছেন । কবিরাও বসে নেই। গবেষকরা রাত দিন গবেষণা করছেন তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে । অনেক লেখাই তো হয়েছে,হচ্ছে। আরো হয়তো হবে,  হবেই।  কিন্তু শিকড়সন্ধানী লেখক, গবেষক, ইতিহাসবেত্তা  ডঃ রাগিব সারজানির কলমে তিনি একটু অন্যরকমভাবে চিত্রিত হয়েছেন!
 এই বই নিয়ে পড়তে বসলে মনে হবে-
আমি কী পড়ছি!  কার লেখা পড়ছি !?
যাকে নিয়ে লেখা এই বই, তিনি কোন যুগের মহান শাসক? কী প্রাজ্ঞ রাজনীতিক!
 তিনি দূর অতীতের  কেউ নন তো ! নইলে এই ঝড়ের ভিতর কে আর হবেন এমন সিপাহসালার?  উম্মার হাসিতে যিনি হাসেন? আর কান্নায় কেঁদে কেঁদে হন- সারা!
 আসলে কে তিনি?
আর কালক্ষেপণ না করে এই বই পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনাকে।
..
ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী

মুসলিম উম্মাহ্‌র অধঃপতনে জাতীয়তাবাদের ভূমিকা

"এক জাতি, এক ভূমি"- এই চেতনা ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একদা যে মুসলিম উম্মাহ্‌ পরিণত হয়েছিল বিশ্বের প্রভাবশালী সভ্যতায় সেই একই ...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ