সারাদেশে গণহারে ভোট ডাকাতি হওয়ায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জেলায় জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ভোটের পরও আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ২৯৯ আসনের প্রার্থীরা জনবল নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করবে।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে নিজ বাসভবনে ড. কামাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করার পর ২৯৯ আসনের প্রার্থীরা ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করবেন।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, ‘সারাদেশে গণহারে ভোট ডাকাতি চলছে। সবাইকে বের করে দেয়া হচ্ছে। তা জানা সত্ত্বেও ভোটের মাঠ থেকে আমরা সরে যাব না। আমরা যখন নির্বাচনে এসেছি, তখনই সরকারি দল আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।’
‘ওরা চাইছে আমরা যেন নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে চলে যাই। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না’,— বলেন ড. কামাল।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া মামলা করার বিষয়টি নিয়েও আমরা ভাবছি। ২৯৯ আসনে প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করবে। শত শত মামলা হবে। নির্বাচনের ফলাফল বন্ধ বা পুনঃনির্বাচনের বিষয়ে রিট করার পরিকল্পনা আমাদের আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিষয় ঐক্যফ্রন্টের লিয়াজোঁ কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে। রিট করার আইনি বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। আদালত খুললে পদক্ষেপ নেয়ার একটা পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
এর আগে, ড. কামাল হোসেন ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। ওই কেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ড. কামাল বলেন, ‘ভোটে কারচুপি হচ্ছে। এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে, রাতেই বিভিন্ন এলাকায় আগেই ভোট দেয়া হয়ে গেছে।’

No comments:
Post a Comment