পৃথিবীর আবরণটা অনেক সুন্দর। তবে এর ভেতরটা কদর্যতায় ভরা।পৃথিবীর আসল রূপটাকে প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
Thursday, June 27, 2019
ফাজিল ( অনার্স) ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ,৩য় বর্ষ ও ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা- ২০১৯ ফরম পূরন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ২০১৩ সালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কর্তৃক ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৩ বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। অত:পর ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ খ্রি. তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ এ বিল পাস করে। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আলিম, পীর-মাশায়িখ ও দেশের জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবী পূরণ হল।
নোটিশ পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
Wednesday, June 26, 2019
আমাদের ভাষা সমস্যা
মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষা কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া পরান আকুল করে? মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষার ধ্বনির জন্য প্রবাসীর কান পিয়াসী থাকে? মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষার কল্পনা-সুন্দরী তাহার মন-মজান ভাবের ছবি আঁকে? কাহার হূদয় এত পাষাণ যে মাতৃভাষার অনুরাগ তাহাতে জাগে না? পৃথিবীর ইতিহাস আলোচনা করিয়া দেখ মাতৃভাষার উন্নতি ব্যতীত কোনও জাতি কখনও কি বড় হইতে পারিয়াছে? আরব পারস্যকে জয় করিয়াছিল। পারস্য আরবের ধর্মের নিকট মাথা নীচু করিয়াছিল, কিন্তু আরবের ভাষা লয় নাই, শুধু লইয়াছিল তাহার ধর্মভাব আর কতকগুলি শব্দ। তাই আনোয়ারী, ফেরদৌসী, সাদী, হাফিজ, নিযামী, জামী, সানাই, রুমী প্রমুখ কবি ও সাধক-বুলবুল কুলের কলতানে আজ ইরানের কুঞ্জকানন মুখরিত। যেদিন ওয়াইক্লিফ লাটিন ছাড়িয়া ইংরেজি ভাষায় বাইবেলের অনুবাদ করিলেন, সেই দিন ইংরেজের ভাগ্যলক্ষ্মী সুপ্রসন্ন হইল। যতদিন পর্যন্ত জার্মানিতে জার্মান ভাষা অসভ্য ভাষা বলিয়া পরিগণিত ছিল, ততদিন পর্যন্ত জার্মানির জাতীয় জীবনের বিকাশ হয় নাই। (অংশ)
সূত্র : প্রবন্ধ সংগ্রহ (১৯৭৮)/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ
অনেক পণ্ডিত অনেকভাবে বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ করেছেন। ভাষা তাত্ত্বিক পর্যালোচনা করে বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টি ও ক্রম বিকাশকে তিনটি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রাচীন যুগঃ প্রাচীন যুগের ব্যাপ্তিকাল ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। এ সময়ের এক মাত্র সাহিত্য নিদর্শন ‘চর্যাপদ’। যাতে বৌদ্ধ সাধকগণ তাদের সাধন পদ্ধতি গানের আকারে লিপিবদ্ধ করেছেন। এছাড়া পাওয়া যায় রূপকথা, ডাক ও খনার বচন। যাতে মানব জীবনের অনেক দিকের কথা ছন্দের আকারে বলা হয়েছে।
মধ্যযুগঃ ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বঙ্গ বিজয়কে মনে রেখে মধ্যযুগের ব্যাপ্তিকাল ধরা হয় ১২০০-১৮০০ সাল পর্যন্ত। ১২০০-১৩৫০ সালের মধ্যে বিশেষ কোণ সাহিত্য কর্মের সৃষ্টি না হওয়ায় এ সময়কে অনেক গবেষক বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলতে চান। ছয়শত বছরের এ দীর্ঘ সময়ে মধ্যযুগে অনেক সাহিত্য কর্মের সৃষ্টি হয়। মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য। এটি চৌদ্দ শতকের দ্বিতায়ার্ধে রচিত। এছাড়াও অন্যান্য সাহিত্য কর্মের মধ্যে আছে বেষ্ণব পদাবলি, মঙ্গল কাব্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ইত্যাদি।
নজরুল: লড়াইয়ের কবি–ভালোবাসার কবি – সুজয় কর্মকার
নজরুল কাব্যের আসল কথা হল লড়াই, বিদ্রোহ। দ্বিতীয় হল ভালোবাসা। বিংশ শতাব্দীর তরুণদের মধ্যে তিনিই হচ্ছেন প্রথম কবি, বরীন্দ্রনাথের যশোমন্ডলের মধ্যে থেকেও যিনি খুজে পেয়েছেন স্বকীয় রচনাভঙ্গী এবং দৃষ্টিভঙ্গী।
ধূমকেতুর মতই তাঁর আবির্ভাব। সাহিত্য সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তিনি যেন কলবোশেখীর ঝড়। প্রথম মহাযুদ্ধে নজরুল ইউনিফর্ম পরে সৈনিকের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন পরে ইউনিফর্ম খুলে ফেললেও সৈনিকের ব্রত নিয়েই সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রবেশ করছিলেন। তিনি ছিলেন ঝর্ণার মত উচ্ছ্বল, দামিনীর মত চঞ্চল। তারুন্য ও প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর এক আবেগ। আত্মশক্তিতে বলীয়ান-
“আমি সহসা আমারে চিনেছি,আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ।”
কবির ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কবিতার ভাব, ভাষা ও নৃত্য-পাগল ছন্দে আলোড়িত হল বাঙালীর হৃদয়। বিদ্রোহী’র ‘আমি’ শুধুমাত্র লেখক নন- যিনি পড়ছেন অর্থাৎ প্রত্যেক পাঠক। এই দৃষ্টিভঙ্গী এই জীবন-দর্শন, মানবমাত্রের এই বিদ্রোহী মূর্তি আগে বাংলা কাব্যে আত্মপ্রকাশ করেনি। বিদ্রোহের এই দৃশ্যময়, ধ্বনিময় ও আবেগময় প্রকাশের কারণেই বাংলা সাহিত্যে নজরুল “বিদ্রোহী” কবি –সেইসঙ্গে যুগ-প্রবর্তক কবি।
তাঁর বিদ্রোহ কেবল দেশের রক্ত শোষক জাতির বিরুদ্ধে নয়, তাঁর বিদ্রোহ হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে, ছুঁৎমার্গী সমাজপতিদের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় ভন্ডামীর বিরুদ্ধে -এক কথায় সকল শ্রেনীর অনাচারী দুষ্কৃতকারীদের বিরদ্ধে। তাই গদ্যে পদ্যে তাঁর হাতে বেজে উঠল ‘অগ্নিবীণা’।
নজরুলের বিদ্রোহী সত্তা বাঙ্গালীর চেতনায় এনেছিল জোয়ার। শুনিয়েছিল শিকল ভাঙার গান। ‘অগ্নিবীণা’, ‘বিষের বাঁশী’ ‘,ভাঙার গান’, সাম্যবাদী’, ‘সর্বহারা’, ‘ফণিমনসা’, ‘প্রলয়শিখা’, ‘সন্ধ্যা’ ও ‘সওগাত’-প্রভৃতি কাব্য-গ্রন্থে তাঁর বিপ্লব-নিষ্ঠা মূর্ত হয়ে আছে। চাই অভিযান, চাই রদবদল, চাই বাধা-বিঘ্নের সাথে বিরোধ, চাই বর্তমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। চাই মরণ -দোল, চাই ঝড়ের সঙ্গে লড়াই- এক কথায় মানুষকে জাগানোই হল নজরুলের বিপ্লব-নিষ্ঠার মূল কথা।
রাজরোষ তাঁকে ক্ষমা করেনি। তাঁর স্থান হয় বন্দীশালায়। অগ্নিবীনা’ ছাড়াও কবির পাঁচটি বই, ‘বিষের বাঁশী’, ‘ভাঙার গান’, চন্দ্রবিন্দু’, ‘ প্রলয় শিখা’ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ হয়। তবুও তাঁকে দমানো যায় নি। তাঁর কবিতার শরীর জুড়েছিল যৌবনধর্মী আবেগ এবং জীবনের নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতা। তিনি ছিলেন ন্যায় ও সত্যের সাধক-এককথায় উৎপীড়িতের কবি। তাই কবির সোচ্চার ঘোষণা –
“আমি সেই দিন হব শান্ত
যবে উৎপীড়িতেন ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না–
অত্যাচারীর খড়্গকৃপান ভীম রণভূমে রণিবে না..
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।”
যবে উৎপীড়িতেন ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না–
অত্যাচারীর খড়্গকৃপান ভীম রণভূমে রণিবে না..
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।”
কিংবা-
“মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ-তূর্য”.।
শুধু সাহিত্যে নয় নজরুল ছিলেন স্বভাবেও বিদ্রোহী। তাঁর এই বিদ্রোহী চেতনার মুলে ছিল মানবপ্রেম ও মানব -নিষ্ঠা। নজরুলের কল্পনায় ভগবানের চেয়ে মানুষ বড়। মানবিকতাই তাঁর ধর্ম। নজরুলের কাব্যে তাই মানুষেরই জয়গান। শোনা গেছে সাম্যবাদের সুর। তবে এ সাম্যবাদে সোসালিজম-কম্যুনিজমের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে মানুষের কথা–
“গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।”
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।”
****************
“তুমি আমায় ভালোবাস, তাইতো আমি কবি…”
আমার এ রূপ-সে যে তোমার ভালোবাসার ছবি।।”
আমার এ রূপ-সে যে তোমার ভালোবাসার ছবি।।”
অগ্নিতাপস এই বিদ্রোহী কবির জীবনেও ফুটেছিল ভালোবাসার অনেক ফুল। প্রেম -প্রীতি রাগ-অনুরাগ আর সুখ-দুঃখের বিচিত্র ধারায় বয়ে গেছে তাঁর জীবন। ‘বুলবুল’, ‘ছায়ানট’ আর ‘দোলন চাঁপা’ এই তিনটি বইয়ের অনেক কিছুই ভালোবাসাবাসির খেলা। এই কবি খোলাখুলি ভালোবাসার গান লিখেছেন আর গেয়েছেন। ভালোবাসার সাহিত্যে নজরুলের স্থান খুব উুঁচুতে।
নজরুলের প্রেমের কবিতাও সোজাসুজি বস্তু নিষ্ঠ। হৃদয়শীল সত্যনিষ্ঠা এর প্রান। রূপ- -রস-গন্ধ-স্পর্শ- শব্দ কোন কিছুর অভাব নেই।
“আমার দ্বারের কাছটিতে তার
ফুটতো লালী গালের টোলে,
টলতো চরণ, চাউনি বিবশ
কাঁপতো নয়ন পাতার কোলে।”
ফুটতো লালী গালের টোলে,
টলতো চরণ, চাউনি বিবশ
কাঁপতো নয়ন পাতার কোলে।”
লড়াইয়ের বীর প্রেমের বীর হতে পারে না। তাকে ভালোবাসার জগতে হারতেই হয়। ভালোবাসায় মানুষ হারে, হেরে ছটফট করে-
“হে মোর রাণী! তোমার কাছে হার মানি আজ শেষে!
আমার বিজয় কেতন লুটায় তোমার চরণতলে এসে।…”
আমার বিজয় কেতন লুটায় তোমার চরণতলে এসে।…”
হৃদয়ের জগতে নেই হাম-বড়ামি। চাই এখানে নম্রতা, আমিত্বের ধ্বংস সাধন–
” আমায় দেখে কখন তুমি ফেললে চোখের জল,
(আজ) বিশ্বজয়ীর বিপুল দেউল তাইতে টলমল।”
(আজ) বিশ্বজয়ীর বিপুল দেউল তাইতে টলমল।”
ভালোবাসা কবিকে যেমন ‘সৃষ্টিসুখের উল্লাসে’মাতিয়ে রেখেছিল তেমনি ভালোবাসাই আবার তাঁর মনকে করেছিল ব্যথাতুর। হৃদয়কে করেছিল ক্ষতবিক্ষত,রক্তাক্ত। ব্যথার বিষে তিনি হয়েছিলেন’নীলকণ্ঠ কবি। প্রেমের যত ভাবাবেগ,ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া,ঈর্ষা,অবহেলা বিস্মৃতি -সবকিছু কবি উপলব্ধি করেছেন। সেইসব আঘাত প্রত্যাঘাত কবি ভাষায়, ছন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন। সকরুণ বেদনায় কবি বলেন-
–
“করেছিলাম চাউনি চয়ন নয়ন হতে মোর,
ভেবেছিলাম গাঁথব মালা -পাইনি খুজে ডোর…”
–
“করেছিলাম চাউনি চয়ন নয়ন হতে মোর,
ভেবেছিলাম গাঁথব মালা -পাইনি খুজে ডোর…”
পরবর্তী জীবনে অন্য সার্থক প্রেম ধরা দিলেও কবির প্রথম প্রেমের নায়িকা অধরা..
“তুমি মোরে ভুলিয়াছ, তাই সত্য হোক
নিশি শেষে নিভে গেছে দীপালি-আলোক”।
নিশি শেষে নিভে গেছে দীপালি-আলোক”।
অধরা মানসীর জন্য হাহাকার শোনা গেছে তাঁর কবিতায়-
“দূরের প্রিয়া! পাইনি তোমায় তাই এ কাঁদন রোল।
কূল মেলেনা তাই দরিয়ায় উঠতেছে ঢেউ দোল! ”
কূল মেলেনা তাই দরিয়ায় উঠতেছে ঢেউ দোল! ”
কবি ভুলতে পারেন না সেই কিশোরী কন্যাকে। তাই বিষাদ-ক্লিষ্ট হৃদয়ে গেয়ে ওঠেন-
“রহি রহি কেন সেই মুখ পড়ে মনে…”
নজরুল সুরের কবি। নজরুল গানের কবি। নজরুল গায়ক কবি। বাঙালীকে গজল শুনিয়ে নজরুল নামজাদা। সুর ছন্দ ও কথার মাধ্যমে নজরুল পৌছে গেছেন জনগণ হদয়ে-সেখানে চিরকাল তাঁর স্থিতি।
“বাগিচায় বুলবুলি তইু ফুলশাখাতে দিসনে আজি দোল”, ” চেও না সুনয়না আর চেও না , এ নয়ন পানে”, “এত জল ও কাজল চোখে, পাষানী আনলে বল কে?”-তাঁর গজলের প্রেমের দুলকি চালে বাঙালী হল মাতোয়ারা!
“বাগিচায় বুলবুলি তইু ফুলশাখাতে দিসনে আজি দোল”, ” চেও না সুনয়না আর চেও না , এ নয়ন পানে”, “এত জল ও কাজল চোখে, পাষানী আনলে বল কে?”-তাঁর গজলের প্রেমের দুলকি চালে বাঙালী হল মাতোয়ারা!
তারপর?
তারপর সব গান থেমে গেল। গানের পাখি নীরব হল। কণ্ঠ রুদ্ধ হল কবির। স্মৃতি থেকে হারিয়ে গেল জন্মভূমি চুরুলিয়া, তাঁর শৈশব, কৈশোর, চায়ের দোকানের কাজ, লেটোর দলে গান করা গান লেখা, শিয়ারশোল স্কুলের স্মৃতি, বন্ধু শৈলজানন্দের সাথে কৈশোরের সেই উত্তাল দিনগুলি, পরিক্ষা না দিয়েই পালিয়ে গিয়ে বাঙালী পল্টনে যোগদান। ভুলে গেলেন গোমতীর তীরে ফেলে আসা সেই কিশোরী কন্যার কথা,ভুলে গেলেন আত্মীয় -পরিজন -সংসার। ভুলে গেলেন চিরসঙ্গী দুলীকে -সে কাছে থেকেও অনেক দুরে। বিস্মরণের অতলে তলিয়ে গেল বন্ধুবান্ধব, অসংখ্য অনুরাগী-অনুরাগিনীর। রইল শুধু সম্বিৎহারা কবির শূন্য, উদাস বোবা দৃষ্টি।
“চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়…”
নিজের লেখা গানের কথা এভাবে যে নির্মম সত্য হয়ে দেখা দিল কবির জীবনে – তা কে ভেবেছিল! কবি যেমন প্রচুর আয় করেছেন তেমনি বে হিসাবী খরচও করেছেন। শেষের দিকে দারিদ্রের চরম লাঞ্ছনায় মাত্র চার হাজার টাকার জন্য তাঁকে তাঁর গানের রয়ালটি সহ সমস্ত রচনার স্বত্ব বন্ধক দিতে হয়। তার উপর প্রিয় পত্নীর অসুস্থতা কবিকে দিশেহারা করে দেয়। ১৯৪২ সালের ৯ই জুলাই কলকাতা বেতার কেন্দ্রের এক গল্পপাাঠের অনুষ্ঠানে পাঠ শেষ করার আগেই জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে কবির কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তারপর সে এক যন্ত্রনার, করুণ বেদনার ইতিহাস। কান্না পাওয়ার ইতিহাস। অনেক চেষ্টা হল। দেশে বিদেশে তাঁর চিকিৎসা হল। কিন্তু ব্যর্থ হল সব প্রচেষ্টা। প্রায় তিন যুগ ঐরকম অবস্থায় থাকার পর ১৯৭৬ সালের ২৯শে আগষ্ট ঢাকায় সংসারের সমস্ত কোলাহল থেকে দুরে… অনেক দুরে… ঘুমের রাজ্যে নীরব কবি শ্রান্ত হয়ে চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়লেন।
Tuesday, June 25, 2019
Al Atraf الأطراف
Atraf (الأطراف ) means the beginning part of a hadith by means of which the rest of the hadith may be known.This is a way of compilation of hadith where along with the description of the beginning part of a hadith, either all the available chains of narration (asanid) are mentioned generally or such chains are mentioned with reference to particular books.
يعني الجزء الأول من الحديث الذي يمكن من خلاله معرفة بقية الحديث. هذه طريقة لتجميع الأحاديث حيث جنبا إلى جنب مع وصف الجزء الأول من الحديث ، إما كل سلاسل السرد المتاحة (asanid) مذكورة بشكل عام أو يتم ذكر هذه السلاسل بالرجوع إلى كتب معينة.
يعني الجزء الأول من الحديث الذي يمكن من خلاله معرفة بقية الحديث. هذه طريقة لتجميع الأحاديث حيث جنبا إلى جنب مع وصف الجزء الأول من الحديث ، إما كل سلاسل السرد المتاحة (asanid) مذكورة بشكل عام أو يتم ذكر هذه السلاسل بالرجوع إلى كتب معينة.
علق ما یلی
الحديث المقلوبعدل
وي شيئا آخر، بأن يبدل راويا بآخر وقد يكون القلب إما في المتن وإما في السند، وقلب السند نوعان:
- أن يكون الحديث مشهورا.
- أن يكون القلب بتقديم أو تأخير لرجال الإسناد (كأن يكون الراوي منسوبا لأبيه)، وحكم الحديث المقلوب: أنه يجب أن
الحديث المرفوع
- الرفع الصحيح:وذلك بإضافة الحديث إلى النبي قولا أو فعلا أو تقريرا أو صفة، مثل: ((قال رسول الله : من حسن إسلام المرء تركه مالا يعنيه.))
- الرفع الحكمي ويكون بمثل قول الصحابي: (أمرنا) أو (نهينا) أو (من السنة كذا).....الخ.
الحديث النازل
هو ما قابل الحديث العالي بأقسامه السابقة والإسناد النازل مفصولا إلا أن تميز بفائدة كزيادة الثقة في رجاله على العالي وكونهم ((أي الثقات)) أحفظ أو أفقه أو نحو ذلك قال ابن مبارك: " .. ليس جودة الحديث قرب بل جودته صحة الرجال ".
هو ما قابل الحديث العالي بأقسامه السابقة والإسناد النازل مفصولا إلا أن تميز بفائدة كزيادة الثقة في رجاله على العالي وكونهم ((أي الثقات)) أحفظ أو أفقه أو نحو ذلك قال ابن مبارك: " .. ليس جودة الحديث قرب بل جودته صحة الرجال ".
الحديث المتروك
مقالة مفصلة: الحديث المتروك
هو ما يرويه متهم بالكذب ولا يعرف إلا من جهته ويكون مخالفا للقواعد المعلومة أو يكون قد عرف بالكذب في غير حديث أو عرف بكثرة الغلط أو الفسق أو الغفلة، حكم المتروك: أنه ساقط الاعتبار لشدة ضعفه فلا يحتج به ولا يستشهد به
الأطراف
الأطراف : الأطراف جمع طرف ، وطرف الحديث ، الجزء الدال على الحديث ، أو العبارة الدالة عليه ، مثل : حديث الأعمال بالنيات ، وحديث الخازن الأمين ، وحديث سؤال جبريل .
مقالة مفصلة: الحديث المتروك
هو ما يرويه متهم بالكذب ولا يعرف إلا من جهته ويكون مخالفا للقواعد المعلومة أو يكون قد عرف بالكذب في غير حديث أو عرف بكثرة الغلط أو الفسق أو الغفلة، حكم المتروك: أنه ساقط الاعتبار لشدة ضعفه فلا يحتج به ولا يستشهد به
الأطراف : الأطراف جمع طرف ، وطرف الحديث ، الجزء الدال على الحديث ، أو العبارة الدالة عليه ، مثل : حديث الأعمال بالنيات ، وحديث الخازن الأمين ، وحديث سؤال جبريل .
Friday, June 21, 2019
দাওরা হাদীসের সমস্ত কিতাবের শরাহ pdf
নামঃ সহজ ইন আমুলবারী (শরহে বুখারী মাগাযী ও তাফসীর)
বিষয়ঃ হাদিস
লেখক / অনুবাদকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আলমগীর হুসাইন
প্রকাশনীঃ মাকতাবায়ে এমদাদিয়া-ঢাকা
সাইজঃ ১২.১ এমবি
ডাউনলোড
নামঃ নাসরুল বারী শরহে সহীহ্ বুখারী ১ম খণ্ড
বিষয়ঃ হাদীছ
লেখক / অনুবাদকঃ মাওলানা নো’মান আহমদ
প্রকাশনীঃ আনোয়ার লাইব্রেরী
সাইজঃ ৩৯ এমবি
ডাউনলোড
নামঃ নাসরুল বারী শরহে সহীহ্ বুখারী ২ম খণ্ড
বিষয়ঃ হাদীছ
লেখক / অনুবাদকঃ মাওলানা মাকসুদ আহমাদ
প্রকাশনীঃ মাহমুদিয়া লাইব্রেরী
সাইজঃ ২৪.৩ এমবি
ডাউনলোড
নাম: নাসরুল বারী শরহে সহীহ্ বুখারী ৩য় খণ্ড
বিষয়: হাদীস
অনুবাদক: আবু বকর সিদ্দিক
প্রকাশনী: আনোয়ার লাইব্রেরী
সাইজ: ২৪ এমবি
ডাউনলোড
Subscribe to:
Comments (Atom)
মুসলিম উম্মাহ্র অধঃপতনে জাতীয়তাবাদের ভূমিকা
"এক জাতি, এক ভূমি"- এই চেতনা ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একদা যে মুসলিম উম্মাহ্ পরিণত হয়েছিল বিশ্বের প্রভাবশালী সভ্যতায় সেই একই ...
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
-
সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী কর্তৃক রচিত ইসলামী pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন। অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ১। অর্থনৈ...
-
মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষা কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া পরান আকুল করে? মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন্ ভাষার ধ্বনির জন্য প্রবাসীর কান পিয়াসী থাকে...
-
বইয়ের নাম : মিল্লাতে ইবরাহিমের জাগরণ । বইয়ের মূল নাম : দিফায়ে মিল্লাতে ইবরাহিম । গ্রন্থনা : শাইখ মুদ্দাসসির আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ আরশাদ ল...
-
রজব তাইয়্যেব এরদোগান ! দুই বারের প্রধানমন্ত্রী। এখন দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি তুর্কির নন্দিত প্রেসিডেন্ট। দেশ,মুসলিম উম্মাহ, বিলাদুল হ...
-
মেশকাত জামাতের সমস্ত কিতাব বাংলা এর pdf {পিডীএফ} পাবেন আমাদের এই ওয়েবসাইটে । সহস্যাধিক ইসলামিক বইয়ের তালিকা এর মধ্য থেকে আপনার পছন্দের p...






