Saturday, October 20, 2018

প্রিন্সিপালের মৃত্যুতেও জ্বলছেন তসলিমা


প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুও অন্তরজ্বালায় পুড়ছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি তার ভেরিফাইডে ফেসবুক পোস্টে অন্তরের বিষ ঢেলেছেন খোলাখুলিভাবেই। ছড়িয়েছেন বিদ্বেষ ও ক্ষোভের আগুন। তার সেই পোস্টে দ্য বাঙাল’র খবরের অংশবিশেষ উদ্ধৃত করেও প্রিন্সিপালের প্রতি ‘শ্লেষ’ ঝেরেছেন তিনি।
তসলিমা নাসরিন তার পোস্টে লিখেছেন, ‘ কী জন্য ব্যাটার পরিচিতি হয়েছিল? বলা হচ্ছেঃ ”১৯৯৪ সালে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি পান প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান। তার সংগঠন সাহাবা সৈনিক পরিষদের ব্যানারে ওই সময় সিলেটে অসংখ্য সভা-সমাবেশ করা হয়। এ ছাড়া দেশের নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে সব সময়ই তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন”।’
এরপর তসলিমা লিখেছেন, ‘আমার মাথার মূল্য ঘোষণা করেছিল ফতোয়াবাজ লোকটি। বাংলাদেশের আইনে ফতোয়া নিষিদ্ধ। কারও মাথার মূল্য ঘোষণা করা ক্রিমিনাল অফেন্স। কিন্তু লোকটিকে কোনও সরকারের আমলেই গ্রেফতার করা হয়নি। বরং একে দলে টানার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মুখিয়ে ছিল। একটা ক্রিমিনাল রাজা বাদশাহর মতো বেঁচে ছিল বাংলাদেশে। তার মৃত্যুতে এখন চারদিকে শোকের ছায়া। ওই দেশ আমার নয়, ওই দেশ ওদের।’

Thursday, October 18, 2018

বাড়ি ফেরা হল না মাদরাসাছাত্র আতিকুলের


বাড়ি ফেরা হল না মাদরাসাছাত্র আতিকুল ইসলামের। মাদরাসার ছুটি উপলক্ষ্যে বাড়ি ফিরছিল সে। কিন্তু ফেরার পথেই বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল তার।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানের নর্দা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আতিকুল ইসলাম (১১) ময়মনসিংহ তারাকান্দা উপজেলার পাগলী গ্রামের মো. শহিদুল্লার ছেলে। সে ভাটারা পূর্ব নয়ানগর হাজী আব্দুর সাত্তার মাদরাসায় নুরানী বিভাগে পড়ত।
নিহতের বড় ভাই বলেন, মাদরাসা থেকে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র ছুটিতে একসঙ্গে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে নর্দা ফুটওভার ব্রিজের নিচে রাস্তার পার হওয়ার সময় নতুনবাজারগামী একটি বাস আতিকুলকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন, গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার


লামিয়া আক্তার মরিয়ম
বরিশাল নগরে শিশু গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী শারমিন আকতারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা সড়কের ভাড়া বাসা থেকে গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতনের শিকার লামিয়া আক্তার মরিয়মকে (১২) উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লামিয়া বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার ইকবাল সরদারের মেয়ে। তার মা নেই, বাবা ঢাকায় রিকশা চালান। সে দাদির কাছে থাকত। গ্রেপ্তার শারমিন আকতার বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী। স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বরিশাল নগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানতে পারে, মদিনা সড়কের ‘আকাশ মঞ্জিল’ এর চারতলার ভাড়া বাসায় লামিয়াকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। সোমবার রাত ৯ টার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে লামিয়াকে উদ্ধার ও শারমিনকে আটক করা হয়।
লামিয়া জানায়, সে ছয় মাস আগে আশরাফুল-শারমিন দম্পতির বাসায় আসে। প্রথম সে তাঁদের ছোট বাচ্চাকে দেখাশোনা করত। পরে তাকে দিয়ে বাড়ির ভারী কাজ করতে বাধ্য করা হতো। কাজ পছন্দ না হলে তাকে মারধর করতেন তাঁরা। বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে তাঁরা তার মাথার চুল কেটে দেন এবং মারধর করেন। নির্যাতনের কারণে তার দুই হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসা না করানোর ফলে তাতে পচন ধরেছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অসীম কুমার বলেন, শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগতে পারে। তবে আশঙ্কার কিছু নেই।
বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী ফরাজী মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় শিশু ও মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শারমিন ও তাঁর স্বামীকে আসামি করা হয়েছে।

Monday, October 1, 2018

বিজেপি নেতার বাংলাদেশ দখলের হুমকি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে জানিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপ‘র বিতর্কিত নেতা সুব্রহ্মন্যম স্বামী। আর এই নির্যাতন বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রাজ্যসভার এই সাংসদ।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সুব্রহ্মন্যম স্বামী একথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক হিন্দু মন্দির বলপূর্বক দখল করে নেওয়া হচ্ছে এবং বাংলাদেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে তাদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
এক পর্যায়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘হিন্দুদের উপরে ক্রমাগত আক্রমণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে। এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ না হলে দখল করে নেওয়া হবে বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের এই ‘পাগলামি’ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি করেছেন স্বামী। অন্যথায় সমগ্র বাংলাদেশে দিল্লির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ভারতের শাসকদলের এই নেতা। তার ভাষায়, ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাগলামি বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখল করতে হবে। আমি সরকারকে সেই পরামর্শই দেব।’
অতীতেও বাংলাদেশ নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি নেতা। ২০১৪ সালের এপ্রিলে এই বিজেপি নেতা দাবি করেন, দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে৷ তাই তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে হবে৷ অন্যথায় খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড ভারতের কাছে ছেড়ে দেয়ার দাবি করেন এই নেতা।

১১ আইনে রাষ্ট্রপতির সম্মতি, নেই কওমি স্বীকৃতি বিল


জাতীয় সংসদের সদ্য শেষ হওয়া ২২তম অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হলেও ১১টি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তবে সেই সম্মতিতে নেই বহুল আলোচিত ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীন কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) এর সনদ মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান (কওমি মাদরাসা) বিল-২০১৮’।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি থাকা বিলগুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল, ২০১৮; বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৮; বস্ত্র বিল, ২০১৮; সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৮; যৌতুক নিরোধ বিল, ২০১৮; সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) বিল, ২০১৮; জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি বিল, ২০১৮; হিন্দু দর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০১৮; বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন বিল, ২০১৮; কৃষি বিপণন বিল, ২০১৮; এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৮।
সংসদের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, সংসদে কোনো আইন পাস হলে তা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠায় সংসদ। আইনগুলোর অনেক কপি ব্রডশিটে ছাপানো হয়।
কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি বিলসহ সম্মতির জন্য পাঠানো হয়নি এমন ৭টি বিল সংসদ অধিবেশনের শেষে পাস হওয়ায় এখনও কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলেই সেগুলো রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে বলে জানা যায়।
এদিকে, বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিও রাষ্ট্রপতির সম্মতি পায়নি বলে জানা গেছে। বিলটির খসড়া তৈরির সময়ই এর বিভিন্ন ধারার বিরোধিতা করে আসছিলেন সাংবাদিকরা। এটি সংসদে পাস হওয়ার তা তাতে রাষ্ট্রপতিকে স্বাক্ষর না করার আহ্বানও জানায় বিভিন্ন মহল।
সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এই বিল পাসের বিরোধিতা করে কর্মসূচিতও দিয়েছিল। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অনুরোধে সেসব কর্মসূচি স্থগিত করে রোববার তার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সেই সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আইনের যে ৯টি ধারায় আপত্তি এগুলোর বিষয়ে বিষয়ে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে। এরপর আবার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়।
২২তম অধিবেশনে পাস হয়েছে অথচ রাষ্ট্রপতি এখনও স্বাক্ষর করেননি সেগুলো হলো, সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীন কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) এর সনদ মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান (কওমি মাদরাসা) বিল-২০১৮, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৮, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল-২০১৮, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরি শর্তাবলি) বিল ২০১৮, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৮ এবং কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট বিল-২০১৮ পাস হয়।

মুসলিম উম্মাহ্‌র অধঃপতনে জাতীয়তাবাদের ভূমিকা

"এক জাতি, এক ভূমি"- এই চেতনা ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একদা যে মুসলিম উম্মাহ্‌ পরিণত হয়েছিল বিশ্বের প্রভাবশালী সভ্যতায় সেই একই ...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ