Thursday, November 29, 2018

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনেই নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ




ভারোত্তলনে সোনাজয়ী এক নারী ভারোত্তোলক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে খোদ ভারোত্তলন ফেডারেশনের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। এই নারী ভারোত্তোলক ঘটনার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি।
নির্যাতিতার মামা জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের চারতলায় ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর ভাগ্নি। ১৫ সেপ্টেম্বর খেলা ছিল। যার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর অনুশীলনের জন্য ডেকে আনা হয়। দেখানো হয় চাকরির লোভও। পরে পুরোনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চারতলায় ডেকে এনে রুম লাগিয়ে দেয়া হয়। আমার ভাগ্নির সর্বনাশ করেছে সোহাগ। ওকে রুমে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে কর্মচারী মালেক ও আরেকজন নারী ভারোত্তোলক।
তিনি জানান, ঘটনাটি তাঁরা জেনেছেন অনেক পরে। বাড়ি ফেরার পর নারী ভারোত্তোলক ব্যাপারটি কাউকে বলেননি। গত ১০ অক্টোবর তিনি বাড়ির পেছনের পুকুরে ডুবে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালালে বিষয়টি সামনে আসে।  মামলা না করার কারণ- মামলা হলে বাড়িতে থানা-পুলিশ যাবে। গ্রামে মুখ দেখানো যাবে না। এ ছাড়া টাকা-পয়সার ব্যাপার তো আছ বলে যোগ করেন তিনি।
আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর থেকে গ্রামে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে ২৩ অক্টোবর গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে মানসিক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই এখন চলছে তার চিকিৎসা। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, বড় ধরনের শক থেকে মেয়েটির অবস্থা পাগলপ্রায়। শুরুতে অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন অবস্থা উন্নতির দিকেই।
এদিকে ফেডারেশনে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। ফেডারেশনের সহ সভাপতি উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দিয়ে দিয়েছি। তাঁরা আমাকে বললেন যে তাঁরা মামলা করতে চান। আমি জানাই এটা আপনাদের ইচ্ছা। পরে অভিযোগ ওঠা অফিস সহাকারী নাম-ঠিকানাও নিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, খেলা থাকলে ঢাকার বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়েরা সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অবস্থান করে থাকেন। সেই নারী ভারোত্তোলক গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে অবস্থান করছিলেন। অভিযোগে থাকা সোহাগের চাকরি তদন্তকালীন সময়ে স্থগিত থাকবে। গতকাল পর্যন্ত তাঁকে দেখা গেলেও আজ থেকে তিনি লাপাত্তা। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাঁকে।

Wednesday, November 7, 2018

শোকরানা মাহফিলে শাপলা চত্বর নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন - আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দাঃবাঃ


হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, গতকাল রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাইয়্যাতুল উলইয়্যার শোকরানা মাহফিলে ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে সত্যের পরিপন্থী কিছু বক্তব্য এসেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্খিত ও সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। আজ (৫ নভেম্বর) সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শোকরিয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, “২০১৩ সালের ৫ই মে সম্পর্কে অনেক মিথ্যাচার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে। কেউ আজ পর্যন্ত হতাহতের সঠিক তালিকা দিতে পারেনি। ২/১ জনের নাম বলা হয়েছিল, আমরা ইনকোয়ারী করে দেখেছি, উনি বেঁচে আছেন, মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। সব অপপ্রচারই ভুল ও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমি বলব, এসব মিথ্যাচারে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। আমি মনে করি, যারা এসব মিথ্যাচার ছড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত৷"
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ৫ই মে’র শাপলা চত্বর ট্রাজেডির বাস্তবতা ও সত্য ঘটনাবিরোধী এমন বক্তব্যের আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি। সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে হাজার হাজার উলামায়ে কেরাম ও হেফাজত নেতৃবৃন্দের সমাবেশে এমন বক্তব্য তাদের সাথে তামাশার সামিল।
এমন বক্তব্যে দেশের আলেম সমাজ, হেফাজত কর্মী ও কোটি কোটি তাওহিদী জনতা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন।
আল্লামা কাসেমী আরো বলেন, ৫ই মে ঘুমন্ত, পরিশ্রান্ত ও অভুক্ত লাখ লাখ হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেমের উপর শাপলা চত্বরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী মারণাস্ত্র হাতে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচারে দেশবাসীর পাশাপাশি সমগ্র বিশ্ববাসীও দেখেছে।
সেদিন অসংখ্য হেফাজত কর্মী হতাহত হয়েছেন, তাজা রক্ত ঝরেছে, তার ভিডিও চিত্র ও অসংখ্য প্রমাণ এখনো বিদ্যমান আছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নিহতদের তালিকাও প্রকাশ করেছে। দেশি-বিদেশী গণমাধ্যম এই নিয়ে অনেক তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এখনো স্বজনহারা পরিবারের কান্না থামেনি। পত্রিকায় প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবে দেখা গেছে, ৫ই মে রাতে শাপলা চত্বরে দেড় লাখের অধিক গ্রেনেড, বুলেট, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হেফাজত আমীর সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, শাপলা ট্রাজেডি নিয়ে বাস্তবতার বিপরীত এবং দেশের আলেম সমাজ ও তাওহিদী জনতার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো বক্তব্য দিবেন না।
তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে আলেমদের উপরে যে নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা চালানো হয়েছে, সেই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে আহত ও নিহতদের ক্ষতিপুরণ দেবেন এবং দোষীদের শাস্তি দেবেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবেন। আমরা তখন থেকেই এই দাবি জানিয়ে আসছি।

পটিয়ার কওমি মাদরাসাগুলোতে জাতীয় সঙ্গীতসহ ৪ নির্দেশ

প্রথমবারের মতাে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সকল কওমি মাদরাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পাঠ, অ্যাসেম্বলী করাসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের এক নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে।
গত সােমবার (০৪ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাবিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি সরকারি নির্দেশনামা উপজেলার ৭টি কওমি মাদরাসায় পাঠানাে হয়।
সরকারি এই নির্দেশনামা পাওয়ার বিষয়ে আওয়ার ইসলামকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজা।
নির্দেশনামায় উল্লেখ রয়েছে। ১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন (বন্ধ ব্যতীত) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ২) জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩. প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ৪. শ্রেণি কক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানাের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
নির্দেশনামায় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এসব নির্দেশানাবলি যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তাও কার্যালয়কে জানাতে অনুরােধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘কওমি মাদ্রাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরেই এ স্বীকৃতির আইন হয়।
নির্দেশনার বিষয়ে জানতে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান মোবাইলে আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় সূত্রে আইন অনুযায়ীই এ নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের কাছে নির্দেশনার স্মারক নাম্বারও রয়েছে।
কওমি মাদরাসাকে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, তাছাড়া দেশের আর কোথাও এমন নির্দেশনা দেয়া না হলেও পটিয়াতে কেন এমন নির্দেশনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই হয়তো এখনো বুঝতে পারছে না চিঠি কিভাবে দেবেন। আমরা দিয়েছি। পর্যাক্রমে হয়তো সবাই এ প্রক্রিয়ায় আসবে।
সরকার এ নির্দেশনা মাদরাসায় চালু হয়েছে কিনা বা কবে নাগাদ চালু হতে পারে জানতে যোগাযোগ করা হয় মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজার সঙ্গে।
তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, গতকাল আমাদের মাদরাসার এ নির্দেশনা এসেছে। তবে আমাদের মুহতামিম দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে আমরা কোনো উদ্যোগ এখনো নেইনি।
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়াতে কোনো সমস্যা নেই। বরং অনেক মাদরাসা চালু আছে। তবে জাতীয় সঙ্গীত ও অ্যাসেম্বলী মাদরাসায় নেই। এগুলো যদি আইনে পরিণত করা হয় তাহলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কমিশনকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা উচিত।
তিনি বলেন, এটা শুধু পটিয়ার মাদরাসাগুলোর বিষয় না, তাই বোর্ড বা শীর্ষ উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।


Friday, November 2, 2018

পাকিস্তানে প্রখ্যাত আলেম মাওলানা সামিউল হককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

 পাকিস্তানের আকোড়াখটক জামিয়া হক্কানিয়ার মহাপরিচালক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এস)-এর ‍প্রধান মাওলানা সামিউল হক (৮০) রাওয়ালপিণ্ডিতে নিজ বাসভবনে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
মাওলানা সামিউল হকের নাতি আবদুল হক জানান, তিনি রাওয়ালপিণ্ডির বাসায় একা অবস্থান করছিলেন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যা করে।

আবদুল হক আরও জানান, বাসায় তিনি একা অবস্থান করছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং গাড়িচালক বাইরে গিয়েছিল। ফিরে এসে তারা দেখতে পান মাওলানা সামিউল হক তাঁর বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
বিভিন্ন মহল থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইসলামবিদ্বেষী কোনো বিদেশি সংস্থার এজেন্টরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
স্থানীয় সাংবাদিক শাহজাদ মালিক পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মাওলানা সামিউল হকের দেহরক্ষী ও গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাওলানা সামিউল হক পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম-রাজনীতিক, সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং সিনেটর। তিনি পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আবদুল হক হক্কানির ছেলে।
সত্তরের দশকে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার বিল যখন পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয় তখন পাকিস্তানের মাওলানা ইউসুফ বিন্নৌরি রহ. যে ‍দুজন মেধাবী আলেমকে এ বিলের ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাদের একজন ছিলেন সামিউল হক, অপরজন মাওলানা তকি উসমানি।
তালেবান ইস্যুতে পশ্চিমা গণমাধ্যমে তাঁর নাম বার বার উচ্চারিত হয়েছে। তালেবান এবং অন্যান্য সশস্ত্রগোষ্ঠীর মাঝে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।
রাওয়ালপিণ্ডির পুলিশ বলছে, তাঁকে একা বাসায় রেখে দেহরক্ষী ও চালক সাধারণত একসঙ্গে বাইরে যায় না। আজই গিয়েছিল। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, আততায়ীরা দেয়াল টপকে বাসায় ঢুকে তাঁকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে, পরে গুলিবর্ষণ করে।
পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তাঁকে নানা রকম হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এজন্য তাঁর চলাচলও সীমিত করা হয়েছিল।
ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শফাকাত এ ঘটনার পর এক টুইটবার্তায় জানান, মাওলানা সামিউল হক হত্যার পর ইসলামাবাদের আবপারা এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। শহরবাসীকে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপ্রয়োজনে তারা যেন বাড়ির বাইরে বের না হন। শিগগিরই পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
মাওলানা সামিউল হকের লাশ রাওয়ালপিণ্ডির ডিএইচকিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল করছে।
দুই দশকে পাকিস্তানে আততায়ীদের হাতে শহীদ হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত আলেম। এ তালিকায় রয়েছেন মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকি রহ. মাওলানা হক নওয়াজ ঝঙ্গবি রহ. ড. মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুখতার রহ. মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানভি রহ. মাওলানা নিজামুদ্দিন শামেজি রহ.।
গত কয়েক বছর পরিস্থিতি শান্ত ছিল। এ জাতীয় বেদনাদায়ক আলেমহত্যার ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে ২ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় মাওলানা সামিউল হকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

মুসলিম উম্মাহ্‌র অধঃপতনে জাতীয়তাবাদের ভূমিকা

"এক জাতি, এক ভূমি"- এই চেতনা ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একদা যে মুসলিম উম্মাহ্‌ পরিণত হয়েছিল বিশ্বের প্রভাবশালী সভ্যতায় সেই একই ...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ