ভারোত্তলনে সোনাজয়ী এক নারী ভারোত্তোলক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে খোদ ভারোত্তলন ফেডারেশনের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। এই নারী ভারোত্তোলক ঘটনার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি।
নির্যাতিতার মামা জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনের চারতলায় ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর ভাগ্নি। ১৫ সেপ্টেম্বর খেলা ছিল। যার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর অনুশীলনের জন্য ডেকে আনা হয়। দেখানো হয় চাকরির লোভও। পরে পুরোনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চারতলায় ডেকে এনে রুম লাগিয়ে দেয়া হয়। আমার ভাগ্নির সর্বনাশ করেছে সোহাগ। ওকে রুমে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে কর্মচারী মালেক ও আরেকজন নারী ভারোত্তোলক।
তিনি জানান, ঘটনাটি তাঁরা জেনেছেন অনেক পরে। বাড়ি ফেরার পর নারী ভারোত্তোলক ব্যাপারটি কাউকে বলেননি। গত ১০ অক্টোবর তিনি বাড়ির পেছনের পুকুরে ডুবে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চালালে বিষয়টি সামনে আসে। মামলা না করার কারণ- মামলা হলে বাড়িতে থানা-পুলিশ যাবে। গ্রামে মুখ দেখানো যাবে না। এ ছাড়া টাকা-পয়সার ব্যাপার তো আছ বলে যোগ করেন তিনি।
আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর থেকে গ্রামে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে ২৩ অক্টোবর গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে মানসিক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই এখন চলছে তার চিকিৎসা। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, বড় ধরনের শক থেকে মেয়েটির অবস্থা পাগলপ্রায়। শুরুতে অবস্থা খারাপ থাকলেও এখন অবস্থা উন্নতির দিকেই।
এদিকে ফেডারেশনে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। ফেডারেশনের সহ সভাপতি উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দিয়ে দিয়েছি। তাঁরা আমাকে বললেন যে তাঁরা মামলা করতে চান। আমি জানাই এটা আপনাদের ইচ্ছা। পরে অভিযোগ ওঠা অফিস সহাকারী নাম-ঠিকানাও নিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, খেলা থাকলে ঢাকার বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়েরা সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে অবস্থান করে থাকেন। সেই নারী ভারোত্তোলক গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে অবস্থান করছিলেন। অভিযোগে থাকা সোহাগের চাকরি তদন্তকালীন সময়ে স্থগিত থাকবে। গতকাল পর্যন্ত তাঁকে দেখা গেলেও আজ থেকে তিনি লাপাত্তা। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাঁকে।
